ভারতে হরিয়ানায় সোমবার থেকে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের গুরুগ্রামে শুক্রবার মসজিদের সাপ্তাহিক প্রার্থনার জন্য যেতে নিষেধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আবহ বজায় থাকায় সেখানে প্রশাসন এই নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়, মুসলিম নাগরিকদের বলা হয়েছে, শুক্রবার বাড়িতেই প্রার্থনা সেরে নিতে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক দাঙ্গায় গুরুগ্রামের একটি মসজিদের ইমামকে হামলাকারীরা হত্যা করে। মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, হরিয়ানার বিজেপি সরকার শুক্রবার ৪ অগাস্ট সকাল থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিধ্বস্ত নুহ জেলার কিছু এলাকায় বুলডোজার অভিযান শুরু করেছে। দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সাংবাদিক বৈঠক করে বুলডোজার অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, "দাঙ্গায় জড়িতদের কড়া সাজা দেওয়া হবে। ভেঙে দেওয়া হবে তাদের ঘরবাড়ি।"
দাঙ্গা বিধ্বস্ত নুহ-র পুলিশ সুপারকে বৃহস্পতিবারই সরিয়ে দেয় হরিয়ানা সরকার। নতুন পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার রাতে দায়িত্ব নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে বুলডোজার অভিযান শুরু করেছেন। জেলার তাউরা এবং সোনা এলাকায় বুলডোজার দিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ঝুপড়িগুলি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, তাউরা এবং সোনা মিশ্রবসত এলাকা। হিন্দু ও মুসলিম, দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই ওই এলাকায় বাস। টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী ঝুপড়ির বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মূলত মুসলিম।
পুলিশ সুপারের কাছে, ঝুপড়ির বাসিন্দারা দাঙ্গায় যুক্ত ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে পুলিশ কর্তার জবাব, "সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" তার কাছে যখন জানতে চাওযা হয়, ঝুপড়ির বাসিন্দাদের কারও নাম দাঙ্গার এফআইআর-এ আছে কি না, তিনি বলেন, "সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।" তিনি বলেন, "ঝুপড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এখন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।’