অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের ঋণ সমস্যার জন্য দায়ী কি চীন?


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর দ্বারা প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউট ছবিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (বামে) চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফংকে ইসলামাবাদে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন। ৩১ জুলাই, ২০২৩।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর দ্বারা প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউট ছবিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (বামে) চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফংকে ইসলামাবাদে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন। ৩১ জুলাই, ২০২৩।

সিপিইসি নামে পরিচিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার কারণে দুই দেশ আজকাল খুব ধুমধাম করে অর্থনৈতিক সহযোগিতার এক দশক উদযাপন করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যদিও মেগা-প্রকল্পটি পাকিস্তানকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বিকাশে সহায়তা করেছে, ইসলামাবাদের অ-ব্যবস্থাপনা ও বেইজিংয়ের অনুদার ঋণ এই প্রকল্পটিকে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পাল্টে দিতে বাধা দিয়েছে ।

বেইজিংয়ের এক বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ও অবকাঠামো প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে (বিআরআই) এর বৃহত্তম অংশীদার বলে অনুমান করা হয়েছে। ২০০৩ সালে ৪৫০০ কোটি ডলারের বেশি পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে চালু হয়েছিল সিপিইসি। সময়ের সাথে সাথে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২০০ কোটি ডলারে, যার মধ্যে অন্তত ২৫০০ লক্ষ ডলার পাকিস্তানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এমনটাই মত উভয় দেশের সরকারের।

ইসলামাবাদভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান-চীন ইন্সটিটিউটের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা মুস্তাফা হায়দার সাইদ ভিওএ-কে বলেন, পাকিস্তানের ভীষণ সংকটজনক পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পটি এসেছিল।

তিনি বলেন, "সেই সময়ে আমাদের প্রচুর সন্ত্রাসবাদ ছিল, প্রচুর অশান্তি ছিল এবং বিশেষ করে, পাকিস্তানকে বিনিয়োগের জন্য সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দেখা হয়নি। সেই সময় চীন আস্থা রেখেছিল পাকিস্তানের উপর এবং ঠিক সময়ে প্রবেশ করেছিল। সবটাই।“

পাকিস্তান সরকারের তথ্য বলছে, সিপিইসি এ পর্যন্ত ২ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, ১৪০০ কিলোমিটারের (৮৯৭ মাইল) বেশি হাইওয়ে ও রাস্তা তৈরি করেছে এবং জাতীয় গ্রিডে ৮০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করেছে। এই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গভীর সমুদ্র বন্দর গোয়াদর সিপিইসির কেন্দ্রবিন্দু। কর্মকর্তাদের মতে, গত ১৮ মাসে ৬ লক্ষ টন মালামাল নিয়ন্ত্রণ করেছে এই বন্দর।
এই সপ্তাহে ইসলামাবাদে সিপিইসির এক দশক উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রকল্পটিকে একটি গেম-চেঞ্জার বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তান ও চীনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শরীফ বলেন, "এবং এটি ছিল দূরদৃষ্টি, প্রতিশ্রুতি ও বন্ধুত্বের ফলাফল।"

সফররত চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী হে লাইফং, যিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রচারে তাঁর অবদানের জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পেয়েছেন, প্রকল্পটিকে অননুকরণীয় বলে অভিহিত করেছেন।
লাইফং বলেন, "এটি সাধারণ বিশ্বাস ও পারস্পরিক উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।“
ওয়াশিংটন ভিত্তিক আটলান্টিক পরিষদের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো আম্মার হাবিব খান। তিনি পাকিস্তানভিত্তিক অর্থনীতিবিদ। ভিওএ-কে তিনি বলেন, পাকিস্তান সিপিইসির মাধ্যমে তার অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলতে লড়াই করেছে। এই আর্থিক বোঝা তার আংশিক কারণ।

XS
SM
MD
LG