বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের গত উপনির্বাচনে অংশ নেয়া হিরো আলম তাকে হেয় না করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তার ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা’ নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের নিন্দা জানান তিনি। রবিবার (৬ আগস্ট) হিরো আলম তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
এর আগে, শনিবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বিএনপি নেতা রিজভীকে বলতে শোনা যায়, “হিরো আলমের মতো একজন অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত আজকাল নির্বাচনে লড়ছেন।”
হিরো আলম বলেন, “আমি কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। এটা খুবই দুঃখজনক, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী স্যার আমাকে পাগল বলার ভিডিও দেখেছি। তিনি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আমার আছে। আইনে কোথাও বলা নেই যে আপনার এই পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে বা আপনাকে দেখতে সুন্দর হতে হবে।” নিজের শিক্ষা নিয়ে বিএনপি নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘‘আমাকে অশিক্ষিত বলা হয়েছে… অথচ মনোনয়নপত্রে ‘স্বশিক্ষিত’ লেখা আছে।’’
তিনি বলেন, “আমাকে অশিক্ষিত বলে আপনারা নিজেদের অশিক্ষিত বলে গালি দিচ্ছেন। কারণ, আপনাদের দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদ জিয়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি।”
হিরো আলম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর সমালোচনা করেন। তার মতে তিনিও (ফখরুল) তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। হিরো আলম বলেন, “মির্জা ফখরুল বলেছেন যে হিরো আলমের মতো লোক-ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার কথায় মনে হয় আমি তুচ্ছ এবং আমাকে উপহাস করা যায়।”
তিনি আরো বলেন, “ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা, জাতীয় পার্টির অনেক নেতা, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী আমাকে নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেন।” তাকে হেয় না করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান হিরো আলম।
উল্লেখ্য, গত মাসে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের সময় বনানী এলাকায় ভোটকেন্দ্র থেকে বের হলে, লাঞ্ছিত হন তিনি। এর পর থেকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হিরো আলম। নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন কূটনীতিক মিশন এবং মানবাধিকার সংগঠন হিরো আলমের ওপর শারীরিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে।