খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রবিবার (৬ আগস্ট) ৩৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ বিতরণ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অর্থ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকার চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ঘোষণা অনুযায়ী, যাদের ছাদে বাগান রয়েছে তারাও খামার ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মতিঝিল প্রধান কার্যালয়ে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে এম সাজেদুর রহমান খান।
এর আগে, কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের চাহিদা বিবেচনায়, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকগুলোর শাখাগুলো ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করবে বলে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিলো।
বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে কৃষি ঋণ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো , ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ করেছে। যা ঐ আর্থিক বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
গত অর্থবছরে মোট ৩৬ লাখ ১৮ হাজার কৃষক, কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৮১ হাজার নারী; তারা ১২ হাজার ৭৫২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যাংক এবং মাইক্রো ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (এমএফআই) বা এনজিও থেকে ঋণ পেয়েছেন।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াও, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে (বিআরডিবি) কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ হিসাবে যথাক্রমে ২৬ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, সিন্ডিকেট ঋণ বিতরণ এবং ব্যাংক-এমএফআই সংযোগ) ক্রেডিট বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিলো ৩০ শতাংশ।