প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে নিয়মিত কটাক্ষ করছেন। রবিবার, ৬ অগাস্ট এই জোটকে নিশানা করতে গিয়ে ‘কুইট ইন্ডিয়া’-র কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে জোট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই আক্রমণ নিয়ে বিরোধীরা সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, অনাস্থা বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই সব আক্রমণের জবাব দেবে বিরোধী দলগুলি।
বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী শুধু ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণই করছেন না, তিনি এই জোটের সঙ্গে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের তুলনা টেনে দলের এমপিদের প্রচারের দিশা দিচ্ছেন।
বিজেপির ৩০৩ সহ এনডিএ-এর ৩৩০ সাংসদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যে ধারাবাহিক বৈঠক চলছে সেখানে একটি বৈঠকে মোদী বলেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করাই বিরোধী জোটের একমাত্র লক্ষ্য। এছাড়া বিরোধীদের আর কোনও লক্ষ্য নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "একটা জোটের কি একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করা লক্ষ্য হতে পারে? এ থেকে বোঝা যায় ইন্ডিয়া জোট গঠিত হয়েছে ক্ষমতালিপ্সুদের নিয়ে। দেশের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে তাঁরা শুধু ক্ষমতা পেতে আগ্রহী।"
সাংসদদের কাছে প্রধানমন্ত্রী এনডিএ-র জয়গান গেয়েছেন। বলেছেন, জোট রক্ষায় বিজেপির ভূমিকার কথা। শরিক দলগুলির পাশে বিজেপি সর্বদা প্রকৃত বন্ধুর মতো থাকে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ুর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বলেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যার অনেক ফারাক। তারপরও বিজেপি ওই বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ শিবসেনাকে ছেড়ে দিয়েছে।
বিহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের থেকে কম বিধায়ক নিয়ে নীতীশ কুমার পনেরো বছর বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তামিলনাড়ুতে বিজেপির দীর্ঘদিনের সঙ্গী এআইএডিএমকে। দলের নেত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর পার্টিতে ভাঙন ধরলেও বিজেপি সঙ্গী বদল করেনি।" সংবাদ সূত্রের খবর, প্রতিটি বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তৃতীয়বার ফের ক্ষমতায় আসছেন তিনি।