অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে চলতি অর্থবর্ষে আইটি সেক্টরে নিয়োগ কমেছে ৪০ শতাংশ


ভারতে চলতি অর্থবর্ষে আইটি সেক্টরে নিয়োগ কমেছে ৪০ শতাংশ।
ভারতে চলতি অর্থবর্ষে আইটি সেক্টরে নিয়োগ কমেছে ৪০ শতাংশ।

ভারতে আইটি কোম্পানিগুলোতে নিয়োগ কমছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রথম সারির বড় আইটি কোম্পানিগুলোতে নিয়োগ কমেছে ৪০ শতাংশ। কর্মী নিয়োগের থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথেই বেশি যাচ্ছে সংস্থাগুলো।

গত অর্থবর্ষ থেকেই দেখা গিয়েছে যে বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলি হাজারে হাজারে কর্মী ছাঁটাই করছে। সেই সঙ্গে নতুন কর্মী নিয়োগ নিয়েও ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে সংস্থাগুলি। এই অর্থবর্ষের শুরুটাও খুব একটা ভাল হয়নি। অ্যামাজন, ফেসবুকের মতো কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলিতে। ভারতের তিনটি বড় আইটি সংস্থা – টিসিএস, ইনফোসিস এবং এইচসিএল টেক-এ নিয়োগের হার কমেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। যেখানে বিগত বছরগুলিতে গড়ে এই তিনটি সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ১.৯৭ লাখ কর্মী নিয়োগ করত, সেখানে গত অর্থবর্ষে তিনটি সংস্থা মিলিয়ে কর্মী নিয়োগ হয়েছে মাত্র ৬৮ হাজার ৮৮৬।

এর কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত অর্থবর্ষের সব ত্রৈমাসিকেই সেভাবে লাভের মুখ দেখেনি সংস্থাগুলি। ত্রৈমাসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে সংস্থাগুলির দৈন্য দশা। এই আবহে কম কর্মী নিয়োগ করে আর্থিক ‘বোঝা’ থেকে মুক্তি পেতে চাইছে সংস্থাগুলি। এই গোটা পরিস্থিতির সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্বের তাবড় ব্যাঙ্কগুলির পতনের ঘটনা। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক-ও সর্বস্ব খুঁইয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওপর মন্দার কালো ছায়া ঘনিয়েছে। এই আবহে কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে বিশ্বের তাবড় বহুজাতিক সংস্থা।

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে কর্মী নিয়োগের সবচেয়ে করুণ দৃশ্য উঠে এসেছে ভারতে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় গত ত্রৈমাসিকে ভারতের তিন বড় সংস্থা ৯৮.৭ শতাংশ কম কর্মী নিয়োগ করেছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যেখানে টিসিএস মোট নিয়োগ করেছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৫৪৬ জনকে, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তারা নিয়োগ করেছে মাত্র ২২ হাজার ৬০০ জনকে। এদিকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইনফোসিস নিয়োগ করেছিল ৫৪ হাজার ৩৯৬ জনকে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে ২৯ হাজার ২১৯। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এইচসিএল নিয়োগ করেছিল ৩৯ হাজার ৯০০ জনকে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তারা নিয়োগ করে মাত্র ১৭ হাজার ৬৭ জনকে।
XS
SM
MD
LG