বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ তাকে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা এ সমস্যাটিকে অগ্রাধিকার দেবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি-তে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি বিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ-এর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।তিনি বলেন, “আমরা চাই সব দেশ সহযোগিতা করুক... একটি একক দেশ বা প্রতিষ্ঠান এটা করতে পারে না।”
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন এর ২০তম বার্ষিকীতে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে; সেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।”
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “বাংলাদেশও একই ধরনের বিষয় নিয়ে জি-টোয়েন্টিতে একটি বৈঠকে অংশ নেবে এবং আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ বাংলাদেশি সংস্থার প্রশংসা করেছে এবং বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরো সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে “
এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি হাতিয়ার।”
এর আগে, রবিবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রিচার্ড নেফিউ। সোমবার তিনি দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রিচার্ড নেফিউ বলেন, “আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছি এবং যেসব দেশ পাচারকৃত অর্থ পেয়েছে, তাদের সমর্থনের কথা বলেছি।”