আদিবাসী মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং বাংলাদেশের নারী অধিকার কর্মী, রানি ইয়ান ইয়ান, গ্লোবাল অ্যান্টি-রেসিজম চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ এর একজন অন্যতম বিজয়ী হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের দুর্দশার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
অন্যান্য বিজয়ীরা হলেন ব্রাজিল, তিউনিসিয়া, পেরু, নেপাল এবং মলদোভার বাশিন্দা।
৯ আগস্ট, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেন প্রথম বার্ষিক সেক্রেটারি’স গ্লোবাল অ্যান্টি-রেসিজম চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বিশ্বব্যাপী সুশীল সমাজের নেতাদের এই দলটি সাহসিকতার সাথে প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠী, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের মানবাধিকারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং বিশ্বব্যাপী পদ্ধতিগত বর্ণবাদ, বৈষম্য এবং জেনোফোবিয়া বা বিদেশাতঙ্কর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করে গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইয়ান ইয়ান বাংলাদেশের মারমা উপজাতির একজন আদিবাসী নেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সরকার-মদদপুষ্ট বৈষম্য, ভূমি দখল, সহিংসতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন দুর্বল জনগোষ্ঠীর পক্ষে তিনি সক্রিয়ভাবে তাঁর সমর্থন জ্ঞাপন করে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, ইয়ান ইয়ানের সক্রিয়তার প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন সচেতনতা অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইয়ান ইয়ান তাঁর সমগ্র কর্মজীবন জুড়ে, জলবায়ু সহনশীলতা এবং লিঙ্গ সমতার বিষয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি, আদিবাসী নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বৈচিত্র্য ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে যুব কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন৷
ব্যাপক বৈষম্য এমনকি সহিংসতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ইয়ান ইয়ান এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর এবং সম-অধিকারের পক্ষে স্পষ্টবাদী হিসাবে সমাদৃত হয়েছেন।