ভারতের আইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে চলেছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার। শুক্রবার ৯ অগাস্ট লোকসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়, গণপিটুনি থেকে শুরু করে গণধর্ষণ— একাধিক অপরাধমূলক মামলায় কঠোরতর সাজার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র, এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন তিনি বলেন, "যদি কোনও ব্যক্তি নিজের পরিচর গোপন করে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে নতুন আইনের অধীনে আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে।"
শাহ বলেন, "মহিলা সুরক্ষা ও সামাজিক অপরাধ দমনের জন্য আমাদের সরকার অনেক কাজ করেছে। পরিচয় গোপন করে কেউ যদি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেন, "গণধর্ষণের মতো অপরাধের জন্য ২০ বছর অবধি জেল বা যাবজ্জীবন সাজার বিধান আনা হবে।" নাবালিকার ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানালেন শাহ।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলের তিন ফৌজদারি আইনে বদল আনতে চলেছে মোদী সরকার। শুক্রবার লোকসভায় অমিত শাহ তিনটি নতুন বিল পেশ করেছেন। সেইসঙ্গে দেশের আইনব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে ‘দেশদ্রোহ আইন’ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশের আইন ব্যবস্থায় কেন্দ্র যে বড় মাত্রায় বদল আনতে চলেছে তা অমিত শাহের আনা বিল থেকে স্পষ্ট। শাহ এদিন বলেন, গণপিটুনির মতো অভিযোগকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে মানা হবে নতুন আইনে। এই অপরাধের জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। জরিমানাও করা হবে, এমনকী মৃত্যুদণ্ডের সাজাও শোনানো হতে পারে অভিযুক্তদের।