অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক


নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক।
নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক।

বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্যকে আটক করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামে জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ছাড়া আস্তানা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন; সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০), তাদের ২০ বছরের মেয়ে হাবিবা বিনতে শরিফুল; কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার হাফিজ উল্লাহ (২৫); নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার খায়রুল ইসলাম (২২) ও তার স্ত্রী মেঘনা (২২); সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার রফিউল ইসলাম (২২); পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২); নাটোরের সোহেল তানজিম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০) এবং বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮)।

অভিযানের পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “চার পুরুষ ও ছয় নারীকে আটক করা হয়েছে। গোপন আস্তানা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে সিটিটিসি সদস্যরা।”

সিটিটিসি প্রধান বলেন, “আটক ব্যক্তিরা নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য। গোপন আস্তানা থেকে আড়াই কেজি বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, ৫০টি বিস্ফোরক, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, যুদ্ধের বুট, জঙ্গিবাদী বই, স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো অস্ত্র, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও অলংকার জব্দ করা হয়েছে।”

অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশের কাছে তথ্য ছিলো, একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠিত হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠনের মূল পরিকল্পনাকারীর নাম জানতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে, শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে মৌলভী বাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় ভবনটি ঘেরাও করেন সিটিটিসি সদস্যরা। পরে, শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম জানান, আটক সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অন্য জেলার বাসিন্দা এবং তারা গত দুই মাস ধরে পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।

XS
SM
MD
LG