অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ: আব্দুল মোমেন


বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ১৪ আগস্ট, ২০২৩।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ১৪ আগস্ট, ২০২৩।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “আগামী নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।” সোমবার(১৪ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে আব্দুল মোমেন এ কথা জানান।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বস্ত করেন আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় রেঙ্গলিকে অভিনন্দন জানান তিনি। ড. মোমেন সুইজারল্যান্ডকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দেশ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে রূপান্তরের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।

অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আয় বেশি বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। তিনি, সুইজারল্যান্ড-কে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান; বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহবান জানান। বাংলাদেশকে সুযোগ ও প্রাণবন্ত অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরো এগিয়ে নিতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলি, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুইজারল্যান্ড সফরের কথা স্মরণ করেন। গত বছর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে আরো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড-এর বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে তার সরকারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তার জন্য সুইজারল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ড-এর পক্ষ থেকে আরো সহায়তার প্রত্যাশা করেন।

XS
SM
MD
LG