অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে রিপোর্ট পেশে সেবি আরও ১৫ দিন সময় চাইল সুপ্রিম কোর্টের কাছে


মুম্বাইতে আদানি গোষ্ঠীর চলমান সঙ্কটকে তুলে ধরে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির একটি চিত্রকর্মের আঁকছেন আর্ট স্কুলের শিক্ষক সাগর কাম্বলি৷ ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।
মুম্বাইতে আদানি গোষ্ঠীর চলমান সঙ্কটকে তুলে ধরে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির একটি চিত্রকর্মের আঁকছেন আর্ট স্কুলের শিক্ষক সাগর কাম্বলি৷ ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।

ভারতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারল না তদন্তকারী সংস্থা সেবি। সোমবার ১৪ অগাস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ওই তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে এ ব্যাপারে আরও ১৫দিন সময় চেয়ে নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড, সংক্ষেপে সেবি।

চলতি বছরের শুরুতে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে হইচই ফেলে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার কোম্পানি হিন্ডেনবার্গ। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের জেরে ধস নেমেছিল আদানির শেয়ারে। তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এরপর শীর্ষ আদালতই সেবি বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর ২৪টি লেনদেনের মধ্যে ১৭টির তদন্ত তারা করে ফেলেছে। আর ৭টি বাকি রয়েছে।

এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ অগস্ট করা করেছিল। শুধু হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নয়, আদানি গোষ্ঠীর বেশ কিছু কোম্পানিতে পাবলিক শেয়ার হোল্ডিংয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম হল পাবলিক কোম্পানিগুলিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং থাকতে হবে অন্তত ২৫ শতাংশ। এ ব্যাপারেও সেবিকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।

জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বন্দর এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিকাঠামো খাতে আদানির ব্যবসায় যে বিদেশি লগ্নি এসেছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সেবি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, এ দেশে তাদের সংস্থা থেকে টাকা সরিয়ে বিদেশে ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে লগ্নি দেখিয়েছিল আদানি। হিন্ডেনবার্গ-এর সেই অভিযোগ অবশ্য গোড়া থেকে অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী।

এদিন, সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে সেবি-র এই ‘গড়িমসি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে ডেলয়েট অ্যান্ড হ্যাস্কিংস নামে অডিটর ফার্ম আদানি পোর্টের অডিটর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। আদানি পোর্ট ও এসইজেড নিয়ে ইস্তফাপত্রে ডেলয়েট বলেছে যে, হিন্ডেনবার্গ-এর রিপোর্টে যে সব লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সেগুলি অবশ্যই সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। হিন্ডেনবার্গ গোষ্ঠীর অভিযোগগুলিয়ে আদানি গোষ্ঠী নিরপেক্ষ তদন্তে রাজি হয়নি।” কংগ্রেসের কথায়, "এটা এখন পরিষ্কার যে ওই কোম্পানিতে ডেলয়েট গরমিল দেখতে পেয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই অনিয়ম কি সেবি দেখতে পাচ্ছে?"

XS
SM
MD
LG