রবিবার নিজারের অভ্যুত্থানের নেতারা বলেছেন, তারা 'গুরুতর রাষ্ট্রদ্রোহিতা' এবং 'নিরাপত্তা নষ্ট করার' দায়ে নিজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজউমের 'বিচার' করতে প্রস্তুত।
জান্তার মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আবদ্রামানে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বক্তৃতায় বলেন, সামরিক শাসন "যোগ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সামনে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবং তার দেশি ও বিদেশি সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং নিজারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।"
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রদায় ইকোওয়াস কীভাবে নিজারে বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধার করা যায় এবং কীভাবে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজউমকে পুনর্বহাল করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
গত মাসে নিজারে সামরিক দখলের পর বাজউমকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এটি পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় তিন বছরের মধ্যে সপ্তম অভ্যুত্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, তার দেশ “সঙ্কটের শান্তিপূর্ন সমাধানের জন্য সমস্ত বিকল্প অন্বেষণ করার জন্য ইকোওয়াসের সংকল্পের ” প্রশংসা করেছে এবং তারা বাজউমের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য জান্তাকে দায়ী করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সেনা মোতায়েন সমর্থন করেছে কিনা তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর আশঙ্কা, নিজার প্রতিবেশী মালি এবং বুরকিনা ফাসোকে অনুসরণ করলে রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশই সেই দেশগুলোতে অভ্যুত্থানের পরে প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সেনাদেরকে বহিষ্কার করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এপি এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।