বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান তাদের প্রথম ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষায় স্থায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীন এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে।
মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে শুক্রবার তিনটি দেশের নেতার সমবেত হবার কথা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অবকাশযাপনের স্থান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুটি চুক্তির মিত্রদের একটি জোরালো নিরাপত্তা নেটওয়ার্কে নিয়ে আসার এবং এই অঞ্চলে তাদের ভূমিকা প্রসারিত করার একটি উপলক্ষ হবে।
শীর্ষ বৈঠকের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিয়মিত বৈঠক করার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকি প্রতিরোধ করাসহ নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চলমান একটি অংশীদারিত্বে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘদিনের একটি লক্ষ্য ছিল। এটি এখন সম্ভব হতে পারে কারণ দেশ দুটির নেতা মার্চ মাসে তাদের সম্পর্ক মেরামত করে নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিং-এ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, শীর্ষ বৈঠকটি ‘উস্কানিমূলক’ নয় বা ‘উত্তেজনা উস্কে দেওয়া’ও এর উদ্দেশ্য নয়। তবু বেইজিং একে শত্রুতা হিসেবে দেখে।
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গিউ মঙ্গলবার ভয়েস অফ আমেরিকা কোরিয়া বিভাগকে ইমেইলের মাধ্যমে বলেছেন, “চীন মনে করে, শুধুমাত্র শত্রুতা তীব্র করতে এবং অন্যান্য দেশের কৌশলগত নিরাপত্তাকে দুর্বল করার জন্য তথাকথিত ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’র নামে জোট গঠন করা হচ্ছে।”