অবিরাম বৃষ্টির জেরে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো পাহাড়ি রাজ্যগুলি। লাগাতার বর্ষণে একাধিক এলাকায় নামছে ধস। ভেঙে পড়ছে বড় বড় বাড়ি। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার অবধি সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১ জন। আগামী কয়েকদিন রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে মৌসম ভবন।
প্রসঙ্গত, বুধবার ১৬ অগাস্ট বৃষ্টি-বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১। গত তিনদিনে সে রাজ্যে কম করে ১৩ জন এখনও অবধি নিখোঁজ রয়েছেন। আপাতত জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে। নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। মাসদুয়েক আগে একবার অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
রবিবার থেকে হিমালয়ের কোলে এই পাহাড়ি রাজ্যে নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সিমলা-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভূমিধসও হয়েছে। ধসে গিয়েছে সিমলা-কালকা টয় ট্রেনের লাইন। গত জুন থেকে বর্ষা শুরুর পর এই রাজ্যে এখনও অবধি মোট ২১৪ জন মারা গিয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ৩৮ জন।
ধস প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। এদিকে, গত সোমবার শিমলার সামার হিলের কাছে একটি শিবমন্দির ধসে পড়ে। ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও ধ্বংসস্তুপের নীচে বেশ কয়েকজন ভক্ত আটকে পড়ে থাকতে পারে বলে প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শিমলার কৃষ্ণনগর এলাকায় মোট আটটি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে খবর।