উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতি দাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুরে মাত্র কয়েক দিনের বিরতিতে ফের শুরু হল সহিংসতা। শুক্রবার ১৮ অগাস্ট ভোর রাতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনই গ্রাম রক্ষী বাহিনীর সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পার্বত্য মণিপুরের উখরুল থানা এলাকায়। জায়গাটিতে নাগা জনজাতিদের বাস। নাগাদের সঙ্গে জাতিদাঙ্গায় যুক্ত কুকিদের সদ্ভাব রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীরা মেইতেই সম্প্রদায়ের মদতপুষ্ট গোষ্ঠী।
সরকারি সূত্রে খবর হামলার সুত্রপাত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। গ্রাম রক্ষার ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিন যুবক। শুক্রবারের মৃতদের নিয়ে গত তিন মাসের জাতিদাঙ্গায় ১৭৫ জন নিহত হয়েছে মণিপুরে।
গত ১০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে বলেছিলেন, সরকার মণিপুরে দ্রুত শান্তি ফেরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরে শান্তি অনেকটা ফিরেছে। গত কয়েকদিন রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সেই ভাষণের তিন দিনের মধ্যেই ঘটল এই ঘটনা।
এদিকে, মণিপুর নিয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য নিয়ে রাজ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে কুকি জনজাতিদের মধ্যে। বিজেপির একাংশ জাতিদাঙ্গার শুরু থেকেই কুকিদের মিয়ানমার-এর অনুপ্রবেশকারী বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দলের কথায় সঙ্গতি রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে মণিপুরের ঘটনার জন্য মিয়ানমার-এর অনুপ্রবেশকারীদের দিকে আঙুল তোলেন। কুকিদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে তাদের বিদেশি বলে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-ও রাজ্যের হিংসার জন্য মিয়ানমার-এর বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তোলেন। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, মিয়ানমার-এর বাসিন্দারা বিপুল সংখ্যায় আছেন মিজোরামে। মণিপুরে তারা সংখ্যায় নগন্য।