ক্যাটোকটিন মাউন্টেন পার্কের সবুজের সমারোহে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিড আবারো আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্থাপন করতে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর দুটি প্রধান এশীয় মিত্রদেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় জোট তাদের ঐক্যকে দৃঢ়তর করতে যাচ্ছে এখানে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আতিথ্যে, শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য হলো “ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা”; একই সঙ্গে ওয়াশিংটন, টোকিও ও সোওলের মধ্যে একটি ত্রিমুখী হটলাইন স্থাপন করা এবং আঞ্চলিক সংকটের সময় একে অপরের সাথে পরামর্শ করার অঙ্গীকার করা। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিং-এ প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদদাতাদের একথা জানান। পররাষ্ট্র নীতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করার সময় প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে একথা বলেন।
একই ব্রিফিং-এ প্রশাসনের আরেকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, তিন দেশ এই প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করবে যে, যখন কোনো আঞ্চলিক জরুরি পরিস্থিতি বা হুমকি সৃষ্টি হবে, তখন তারা ত্বরিত পরামর্শ করবে,পরস্পরের সাথে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করবে এবং একে অপরের সাথে মিলে নীতিগত পদক্ষেপ প্রণয়ন করবে।
শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনের এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও এর সাবেক দখলদার জাপানের মধ্যকার স্থবির সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার পর। এর আগে, সম্পর্ক উন্নয়নের জন ই্য়ুন ও কিশিদার সরকার, দু দেশের দুঃখজনক ইতিহাস ও পারস্পরিক অবিশ্বস দূর করার জন্য কয়েক মাস ধরে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।
.
আগের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, নেতারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবেন যে, ক্যাম্প ডেভিডের “প্রতিশ্রুতিকে ব্যাহত না করে, ভবিষ্যত নেতারা প্রতি বছর এমন সম্মেলনে মিলিত হবেন।”