অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫২ টি আবেদন


ডিজিটাল ব্যাংকে লেনদেন করছেন একজন গ্রাহক। (ফাইল ছবি)
ডিজিটাল ব্যাংকে লেনদেন করছেন একজন গ্রাহক। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মুখপাত্র রবিবার (২০ আগস্ট) জানিয়েছেন, ডিজিটাল ব্যাংক খোলার লাইসেন্স পেতে মোট ৫২টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে; রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি কোম্পানি এবং দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, “লাইসেন্স পেতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে আবেদন করেছে। এই আবেদনগুলো যাচাই করা হবে। যারা নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করেছেন এবং যোগ্য; লাইসেন্সের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড, তাদের লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) ইস্যু করবে।”

তিনি আরো বলেন, “ডিজিটাল ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিনির্ভর হবে। এর কোনো প্রকৃত শাখা, উপশাখা ও এটিএম বুথ থাকবে না। কোনো শারীরিক লেনদেন হবে না। নীতিমালা অনুযায়ী মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দেয়া হবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন সহজতর করতে, একটি ওয়েব পোর্টাল খুলেছে। ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেতে, সকল প্রক্রিয়া প্রথাগত পদ্ধতিতে কাগজের নথি জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এর পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথি জমা নেয়া হবে। আবেদনের ফি হবে ৫ লাখ টাকা, যা ফেরতযোগ্য নয়।

ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক মূলধন ১২৫ কোটি টাকা এবং পরিচালক হতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। যারা এই নতুন ব্যাংক শুরু করতে আগ্রহী, তাদের নতুন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

এর আগে, গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। গত ১৫ জুন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করা হয়।এর পর, গত ২১ জুন অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

XS
SM
MD
LG