অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে যৌন সম্পর্কে সম্মতির ন্যূনতম বয়স স্থির করতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা গৃহীত, কেন্দ্রের পরামর্শ চাইল শীর্ষ আদালত


ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। (ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বয়স কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভারতে। যৌন সম্পর্কে সম্মতির ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত তা নিয়ে এমনকি সাম্প্রতিককালে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশন সহ একাধিক সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মতামত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।

আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোর কিশোরীরা উভয়ের সম্মতিতেও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলেও তাকে ধর্ষণ হিসাবেই গণ্য করা হয়। কারণ অপ্রাপ্তবয়স্কের সম্মতি আইন গ্রাহ্য করে না। বিষয়টি পকসো আইনের আওতাধীন।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাস্তবে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ১৪ বছর বয়স থেকেই যৌনতা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়ে যায় কিশোর-কিশোরীরা। এমনকী ওই বয়সেই পরস্পরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণও তৈরি হয়। ফলে ওই বয়সে পরস্পরের সম্মতিতে মিলিত হলেও আইনের অপব্যবহার করে পুরুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার জন্য গত জুলাই মাসে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট।

ওই রেফারেন্স টেনেই শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী হর্ষ বিভোর সিঙ্ঘল। শুক্রবার ১৮ অগাস্ট মামলাটি গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র-র বেঞ্চ। এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশন সহ একাধিক কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে বেঞ্চ।

আইনজীবী হর্ষ বিভোর মনে করেন, ১৪ নয়, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা উচিত। শুনানিতে আদালতকে তিনি বলেন, "কোনও কিছু বিচার করার মতো শারীরিক, জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক ক্ষমতা ১৬ বছর বয়স থেকেই তৈরি হয়ে যায়। তাই নিজেদের দেহের সঙ্গে তারা কী করতে চায়, তার স্বাধীনতা থাকা জরুরি। সেকারণেই উভয় সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্তের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা উচিত।"

XS
SM
MD
LG