ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির জন্য বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) অস্থির ও পাগল হয়ে উঠেছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছে। সেখান থেকে আন্দোলন আর সন্ত্রাসের জন্য নেতা-কর্মীদের উসকানি দিচ্ছেন। লন্ডনে নিরাপদে থেকে দেশে বিএনপির কর্মীদের ও এ দেশের মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছেন
বুধবার (২৩ অগাস্ট) রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার ক্ষমতা কারও নেই। বিএনপির আন্দোলনের কোনো ভিত্তি নেই। তাদের আন্দোলনে কিছু কর্মী যোগ দিলেও, সাধারণ জনগণ এসব আন্দোলনের সঙ্গে নেই। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি যেসব অপকর্ম করেছিল, তার জন্য তারা এখনো জনবিচ্ছিন্ন। কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সফল হতে পারবে না।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও যাতে রপ্তানি করা যায়, সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নানান রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক । তিনি বলেন, ফুল উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময়।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ বাড়ছে। সে জন্য ফুল চাষিদের স্বার্থ রক্ষায় কৃত্রিম বা সিনথেটিক ফুলের ব্যবহার কমাতে হবে। কৃত্রিম ফুল আমদানিতে অচিরেই উচ্চহারে শুল্কারোপ করা হবে। যাতে করে আমদানি না হয়।
নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিচ্ছে সরকার—অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার নিরপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করছে। মঙ্গলবার (২২ অগাস্ট) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধ লোক আছে; তা দেখানোর জন্যই সরকার এটা করেছে। আর জঙ্গিদের দমন করতে শুধু তাদেরকে (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রয়োজন, এটা প্রমাণের চেষ্টা করছে”।
তিনি বলেন, “আপনারা কয়েক দিন আগে দেখেছেন যে গভীর জঙ্গল উল্লেখ করা একটি এলাকা থেকে কিছু সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ জঙ্গি; তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ধ্বংস করছে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তকমা চাপিয়ে দিয়ে তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে”।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “হ্যাঁ, এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ … এটা কোনো পাপ বা অপরাধ নয়। সরকার ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বর্তমান সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন নির্ভর করছে আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পারি কি না তার ওপর”।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে, জনগণ বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ও জেগে উঠছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে অবশ্যই অ-গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে হবে”।