অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের কেরলে ক্ষমতাসীন সিপিএম ও ইন্ডিয়া জোটসঙ্গী কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ইডি-র তদন্ত শুরু


সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসে ইডি হানা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই বিস্মিত।

ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরলে একই সময় সিপিএম এবং কংগ্রেস, দুই শিবিরেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তল্লাশি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ২২ অগাস্ট, বুধবার ২৩ অগাস্টও তা অব্যাহত ছিল।

সিপিএমের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসি মৈদিনের বিরুদ্ধে ইডি একটি সমবায়ে একশো কোটি টাকা নয়ছয় এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে এফআইআর করেছে। সেই সমবায়ের একাধিক অফিস এবং বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে, কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে সুধাকরণকে মঙ্গলবার থেকে জেরা করে চলেছেন ইডির গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে প্রত্নসামগ্রী বিক্রির ডিলে যুক্ত থেকে অর্থ উপার্জন ছাড়াও রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ব্যবসা পাইয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইডি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হানাদারির প্রতিবাদে বুধবারও পথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম-কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন ইন্ডিয়া জোটের শরিক বাম-কংগ্রেস নেতারা ইডি হানার মোকাবিলায় যৌথ আন্দোলন কেন করছেন না, তার সরাসরি জবাব দেননি কোনও শিবিরের নেতারাই।

তবে একান্তে দুই শিবিরই জানিয়েছে, যৌথ আন্দোলনের প্রশ্ন নেই। ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও কেরলে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই হবে। সিপিএম এই ব্যাপারে আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ৩১ আগস্ট-১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠকে আসন বাটোয়ারা নিয়ে আলোচনায় দুই দলই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেবে।

সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসে ইডি হানা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই বিস্মিত। বর্তমান সমবায় মন্ত্রী ভিএন বাসবন বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে জানান ত্রিশূরের কারুভায়ু সার্ভিস কো-অপারেটিভে ১০৪ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ অডিটে ধরা পড়েছে। বিধানসভাতেই কংগ্রেস দাবি করে অনিয়মের অঙ্ক ৩০০ কোটি। এরপরই বিজেপি তদন্তের দাবি তোলে। ইডি বিধানসভায় মন্ত্রীর বিবৃতিটিকে হাতিয়ার করে তদন্তে নেমে পড়ে।

রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। ইডির বক্তব্য, প্রত্নসামগ্রী বিক্রেতা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপুল টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আটকে আছে। সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সুধাকরণের উপস্থিতিতে তার পরিচিত একজন ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়। সেই টাকা পরে সুধাকরণের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রে বিগত সাড়ে নয় বছর ধরে বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। কেরলের রাজ্য রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেস নেতা যদি টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন তা হলে তাকে ভরসা যুগিয়েছলেন কি বা তিনি বিজেপির কোনও প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী কি না।

XS
SM
MD
LG