অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব দাবায় ভারত: দু'টি গেম ড্র, প্রজ্ঞানন্দ বনাম কার্লসেন যুদ্ধে এবার খেতাব নির্ধারিত হবে টাইব্রেকারে


যদিও মনে করা হচ্ছে দ্রুত চালের দাবায় প্রজ্ঞা অনেকটা এগিয়ে থাকবেন নরওয়ের দাবাড়ুর কাছে। মস্তিষ্ক যুদ্ধে শেষ কী হবে তার জন্য আরও ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
যদিও মনে করা হচ্ছে দ্রুত চালের দাবায় প্রজ্ঞা অনেকটা এগিয়ে থাকবেন নরওয়ের দাবাড়ুর কাছে। মস্তিষ্ক যুদ্ধে শেষ কী হবে তার জন্য আরও ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

বিশ্ব দাবায় এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। বিশ্ব দাবার দ্বিতীয় গেমও ড্র হয়েছে বুধবার ২৩ অগাস্ট। যার ফলে ভারতের প্রজ্ঞানন্দ ও নরওয়ে-র কার্লসেনের মধ্যে ম্যাচ টাইব্রেকারে গিয়েছে।বৃহস্পতিবার ২৪ অগাস্ট আবারও তারা খেলবেন। তবে মাত্র ২৫ চালের মধ্যে খেলা শেষ করতে হবে।

এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি মুভ করেছেন দুই দাবাড়ু। তারপরেই তারা ড্র-এর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা জানান। এদিন সাদা ঘুঁটিতে খেলতে দেখা যায় প্রজ্ঞানন্দকে। ২৫টি মুভের পরে এদিন প্রজ্ঞানন্দ-র ঘড়িতে বেঁচে ছিল ১৮ মিনিট। অন্যদিকে কার্লসেন-এর হাতে ছিল ৩০ মিনিট। অর্থাৎ সময়ের অ্যাডভান্টেজ ছিল কার্লসেন-এর হাতে।

প্রথম ৪০টি মুভের জন্য দুই দাবাড়ু পান ৯০ মিনিট সময়। পরবর্তী গেমের জন্য তারা ৩০ মিনিট করে সময় পাবেন। এরপর প্রতি মুভে ৩০ সেকেন্ড করে সময় বেশি পান দুই দাবাড়ু।

১৪তম মুভে এদিন প্রজ্ঞানন্দ বেশ কিছুটা সময় নেন। এই মুভে ১৭ মিনিট নেন তিনি। কিন্তু জবাবে কার্লসেন তার মুভ শেষ করেন অতি দ্রুত। তবে কার্লসেন সবচেয়ে বেশি সময় নেন তার ১৩তম মুভে। এই মুভে ২৭ মিনিটি সময় নেন তিনি।

এদিন আজারবাইজানের বাকুতে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন কার্লসেন। তিনি বেশ কিছু দ্রুত মুভ করেন। তবে তাতে নজর দেননি প্রজ্ঞা। তিনি ধীরে সুস্থে সময় নিয়েই তার মুভগুলো সম্পূর্ণ করছিলেন। ফলে সময়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে এই ঘটনা তাকে দমাতে পারেনি। ঠান্ডা মাথায় খেলে শেষ পর্যন্ত সাদা ঘুঁটিতে ড্র ছিনিয়ে নেন তিনি।

২০০৪ সালের এপ্রিলে প্রথমবার গ্রান্ডমাস্টার হয়েছিলেন কার্লসেন। আর এই ঘটনার ১৬ মাস পরে ২০০৫ সালের অগস্টে জন্ম নেন প্রজ্ঞা।

যদিও মনে করা হচ্ছে দ্রুত চালের দাবায় প্রজ্ঞা অনেকটা এগিয়ে থাকবেন নরওয়ের দাবাড়ুর কাছে। মস্তিষ্ক যুদ্ধে শেষ কী হবে তার জন্য আরও ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

XS
SM
MD
LG