অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


 আফ্রিকার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ অগাস্ট, ২০২৩।
আফ্রিকার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ অগাস্ট, ২০২৩।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের ধারার স্বার্থে দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “উন্নয়ন কেবল গণতান্ত্রিক ধারার মাধ্যমেই সম্ভব। এটা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে”।

বুধবার (২৩ অগাস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অবাধ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, “২০০৮ সাল থেকে উন্নয়ন চলছে। কারণ দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে, স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করতে পেরেছি। সে কারণেই আমরা এই সফলতা পেয়েছি”।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে (২১ বছর পর) সাফল্যের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এখন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও ক্ষমতা রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞার জন্য (ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে) সবকিছুর দাম বেড়েছে। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে”।

শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের আগামী দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন। তিনি তাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার ও গন্তব্যে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বলেন। তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য কাজ করতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিসরে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম, মরিশাসে নিযুক্ত হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, আলজিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন, কেনিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক আহমেদ ও লিবিয়া নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার প্রমুখ।

XS
SM
MD
LG