অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আবার বিপদ সীমার উপরে তিস্তার প্রবাহ, খুলে দিতে হয়েছে সব জলকপাট


আবার বিপদ সীমার উপরে তিস্তার প্রবাহ, খুলে দিতে হয়েছে সব জলকপাট
আবার বিপদ সীমার উপরে তিস্তার প্রবাহ, খুলে দিতে হয়েছে সব জলকপাট

উজানের পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিাতের কারণে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার জল। চাপ নিয়ন্ত্রণে, ব্যারেজের সব জলকপাট খুলে দিতে হয়েছে। ফলে নদীর বাম তীরের লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায়, তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ মিটার; যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট বিপদ সীমা অতিক্রম করে তিস্তা। তবে, একদিন পর জলস্তর নিচে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে আবার পানি বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। ৩ ঘণ্টা পর, দুপুর ১২টায় বিপদ সীমা অতিক্রম করে।

উজানে ভারী বর্ষণ ও ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায়, তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফসলের জমিতে পানি উঠেছে; পানিবন্দী হয়ে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

চর গোবর্দ্ধন এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে; যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। হলদিবাড়ি চরের আব্দুল মতিন জানান, “রাত থেকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছি। ক্রমেই বাড়ছে পানি।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, “উজানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।”

XS
SM
MD
LG