অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ


উখিয়ায় গণহত্যা দিবসের ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি সমাবেশের জন্য জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ২৫ আগস্ট, ২০২৩।
উখিয়ায় গণহত্যা দিবসের ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি সমাবেশের জন্য জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ২৫ আগস্ট, ২০২৩।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, “সরকার এ বছর প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।” রবিবার (২৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আমরা তিন হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। তবে, পরিবারগুলো যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়, প্রত্যাবাসন শুরুর আগে তা নিশ্চিত করতে হবে।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিলে, তারা হাতে তিন মাস সময় পাবেন।আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসবে।”

এর আগে, গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নির্যাতিত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া, প্রতিবছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম নিচ্ছে। এ সব কারণে, সংকট আরো জটিল হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মানবিক সহায়তার ঘাটতি এবং নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরো বিলম্ব হলে, পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আহবান জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। ১২ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এই সংকট, দেশটিতে আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় সংশ্লিষ্ট সমস্যায় ফেলছে।

XS
SM
MD
LG