অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফ্রিকান আমেরিকানরা বর্ণবিদ্বেষ প্রসূত হামলার শীর্ষ লক্ষ্যবস্তুঃ রিপোর্ট


এই ভিডিও গ্র্যাবটিতে ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে একটি গোলাগুলির জায়গায় পুলিশের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
এই ভিডিও গ্র্যাবটিতে ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে একটি গোলাগুলির জায়গায় পুলিশের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যা করার ঘটনাটি একটি ভয়াবহ বাস্তবতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা কিনা গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে নথিভুক্ত করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা যুক্তরাষ্ট্রে জাতিবিদ্বেষের কারণে হেট ক্রাইমের সবচেয়ে বেশি শিকার।

মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদন এই প্রবণতাকে নিশ্চিত করে। এতে দেখা যায়, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে রিপোর্ট করা সমস্ত হেট ক্রাইমের এক-পঞ্চমাংশের বেশির লক্ষ্যবস্তু ছিল কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ। এটি যেকোনো গোষ্ঠীর মধ্যে সর্বোচ্চ অংশ।

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি সান বার্নার্ডিনোর সেন্টার ফর স্টাডি অফ হেট এন্ড এক্সট্রিমিজম দ্বারা বিশ্লেষণ করা পুলিশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কৃষ্ণাঙ্গদের লক্ষ্য করে সংঘটিত হেট ক্রাইম গত বছর গড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। আগের দুই বছর এই হার বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ফ্লোরিডার একটি মুদি দোকানে একজন শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী দুজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে বিদ্বেষের অংশ হিসেবে হত্যা করার মাত্র কয়েকদিন পর এই প্রতিবেদনটি আসে।

২১ বছর বয়সী শ্যুটার, যিনি হত্যাকাণ্ডের পর নিজেও আত্মহত্যা করেন, তিনি একটি বর্ণবাদী চিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন যেখানে তিনি কালো মানুষের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন। আক্রমণে তিনি যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন তাতে স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকা ছিল।

সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ হেট এন্ড এক্সট্রিমিজমের ডিরেক্টর এবং প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ব্রায়ান লেভিন বলেন, “কৃষ্ণাঙ্গরা শুধুমাত্র এই চরমপন্থী খুনিদের জন্যই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু এমন নয়, বরং যখন থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তখন থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি বছরই সামগ্রিক ঘৃণামূলক অপরাধের জন্য তারা সবচেয়ে বেশিবার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ”

XS
SM
MD
LG