অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানে এক যাজককে হত্যার চেষ্টা


ফয়সালাবাদের কাছে জরানওয়ালায় খ্রিস্টান এলাকায় বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা আক্রমণ করার পরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধা-সামরিক বাহিনী দাঙ্গা ঠেকানোর সরঞ্জাম নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। ১৭ আগস্ট, ২০২৩।
ফয়সালাবাদের কাছে জরানওয়ালায় খ্রিস্টান এলাকায় বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা আক্রমণ করার পরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধা-সামরিক বাহিনী দাঙ্গা ঠেকানোর সরঞ্জাম নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। ১৭ আগস্ট, ২০২৩।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের পুলিশ সোমবার নিশ্চিত করেছে, পূর্বের একটি জেলায় স্থানীয় এক খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। ওই এলাকায় একটি খ্রিস্টান পাড়ায় জনতার নেতৃত্বে হামলায় গত মাসে প্রায় ২৪টি গির্জা এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।

আহত যাজকের নাম ভিকি। তিনি ফয়সালাবাদে পুলিশকে বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গির্জায় প্রার্থনার নেতৃত্ব দেয়ার পরে তিনি তার ছেলের সাথে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে একজন বন্দুকধারী গুলি করে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, ভিকি বর্তমানে তার কাঁধে বুলেটের আঘাতের কারণে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

কেউ এই হত্যা প্রচেষ্টার দায় স্বীকার করেনি। ১৬ আগস্ট জেলার দরিদ্র জরানওয়ালা শহরে হাজার হাজার মুসলমান একটি খ্রিস্টান পাড়ায় হামলা চালানোর দুই সপ্তাহ পরে এই হামলা সংঘটিত হয়।

জনতা জরানওয়ালায় ২৪টি গির্জা, কয়েক ডজন ছোট চ্যাপেল এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।

পুলিশ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা জানায়, দুজন খ্রিস্টান ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ ও গুজব মুসলমানদেরকে দাঙ্গায় উস্কে দেয়।

পাকিস্তানের ইতিহাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হামলার একটি হিসেবে এটিকে অভিহিত করা হয় এবং এর ব্যাপক নিন্দা করা হয়।

পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননা আইনে কোরান বা ইসলামি বিশ্বাসের অবমাননা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, শত শত সন্দেহভাজন, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তারা পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী রয়েছে। কারণ বিচারকরা প্রায়শই তাদের বিচারকাজ এগিয়ে আনতে বা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর চাপে তাদের অব্যাহতি দিতে অনিচ্ছুক থাকেন।

XS
SM
MD
LG