যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এর মধ্যেই হোয়াইট হাউজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বড় লক্ষ্য নিয়ে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, “বাইডেনের কোভিডের কোনো লক্ষণ নেই’’। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালেও বাইডেনের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। যদিও বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে যদি পরীক্ষায় পজিটিভ হন, তাহলে কী পরিকল্পনা করা হবে, তা জানাননি তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তন, ঋণ পুনর্গঠন এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো ইস্যুতে মনোনিবেশ করবে। ভারতের রাজধানীতে শনিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই সমাবেশ।
সালিভান বলেন, “আমরা আশা করি, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দেখাবে যে, বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলো চ্যালেঞ্জিং সময়েও একসঙ্গে কাজ করতে পারে। সুতরাং নয়া দিল্লীতে আমাদের ফোকাস হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কাজ করা, জলবায়ু থেকে প্রযুক্তি পর্যন্ত আমেরিকান জনগণের জন্য মূল অগ্রাধিকারের অগ্রগতি অর্জন করা এবং জি-২০-র প্রতি আমাদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করা।”
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর অনুপস্থিতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
জুমে ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের জি-২০ রিসার্চ গ্রুপের প্রধান অধ্যাপক জন কির্টন বলেন, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর মতো মোদি পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্যের ঘোষণা দিতে পারেন কি না, তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমি মনে করি এটা ভালো খবর, পুতিন আবারও শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেমনটা তিনি গত বছর বালিতে করেছিলেন। এমনকি মনে হচ্ছে চীনের শি জিনপিং হয়তো উপস্থিত হবেন না। এর ফলে অন্য দেশগুলোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া অনেক সহজ হবে।”
বাইডেন সম্প্রতি বলেন, তিনি "হতাশ" যে শক্তিশালী চীনা নেতার এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তারপরও তিনি তার সাথে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেন। সালিভান মঙ্গলবার এ ধরনের বৈঠক কবে হতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।