ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে, ঢাকায় ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটে, তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার তার ভারতীয় সমপক্ষ নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যান।
তিন দিনের সফরে শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন। তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে, দুই দেশের মধ্যে, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সরলীকরণ বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এর অধীনে দুটি বক্তৃতা দেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার সকালে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সেখানে জি-২০ নিউ দিল্লি লিডারস ডিকলারেশন গৃহীত হয়।
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এবং এই মেয়াদে ভারত, বাংলাদেশ-সহ মোট ৯টি অতিথি দেশকে শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়। বাকি ৮ দেশ হলো; মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।