বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দেশের জনগণ অন্তর থেকে সরকারের পরিবর্তন চায়; কারণ তারা দুঃশাসনে হতাশ হয়ে পড়েছে।” সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে, যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “তারা যাই বলুক, কিছুই অর্জন করতে পারবে না। মানুষ এখন তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে পরিবর্তন চায়। প্রতি মুহূর্তে এ দেশের মানুষ এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “খাদ্য-বস্ত্র সহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ ও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আমি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে চাই... আসুন আমরা সবাই মিলে এই কর্তৃত্ববাদী সরকার দূর করতে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই লড়াই করি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান স্বৈরশাসন জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দেশ শাসন করছে। যেহেতু সময় কম, তাই চলুন এগিয়ে যাই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।”
আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ: ওবায়দুল কাদের
এদিকে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্য ও জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে। কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল; এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে। আগামী নির্বাচন বলে দেবে, কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসুন। মোকাবেলা হবে নির্বাচনে।”