সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের শস্য স্থাপনায় রাশিয়ার আক্রমণ অনেক উন্নয়নশীল দেশে খাদ্যের দাম “আকাশচুম্বী” করে দিয়েছে।
জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের এক অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে তুর্ক বলেন, দামের ঊর্ধ্বগতি “খাদ্যের অধিকারকে অনেক মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে।”
তিনি বিশেষভাবে সোমালিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার গমের ওপর নির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, শস্য চুক্তির ভাঙন “বিশেষভাবে ক্ষতিকর” ছিল।
কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের শস্য কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে রপ্তানি করার অনুমোদন দেয়া হয়। রাশিয়া জুলাই মাসে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। রাশিয়ার অভিযোগ, রাশিয়ার খাদ্য এবং সার রপ্তানির ওপর আরোপিত বাধা দূর করার জন্য সমান্তরাল একটি চুক্তি কার্যকর করা হয়নি।
সোমবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলেছে, ইউক্রেনের বাহিনী ক্রাইমিয়ার কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি উপকূলীয় গ্যাস এবং তেল ড্রিলিং প্ল্যাটফর্মের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে।
তারা টেলিগ্রামে জানিয়েছে, এই অভিযানে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এগিয়ে আছে। তারা একটি রুশ সু থার্টি যুদ্ধবিমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং হেলিকপ্টার, গোলাবারুদ এবং রাডার সরঞ্জাম দখল করেছে।
সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়া ২০১৫ সাল থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো দখল করেছিল এবং সেগুলো সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছিল।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।