সোমবার পাকিস্তান স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের সাথে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছে, তালিবান কর্তৃপক্ষ তার ভূখণ্ডে “বেআইনি কাঠামো” তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং তা চ্যালেঞ্জ করা হলে “নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে।
বাণিজ্য এবং ভ্রমণকারীদের জন্য ব্যস্ত ঐতিহাসিক তোরখাম ট্রানজিট পয়েন্টের মধ্য দিয়ে গত বুধবার সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময়ের পর আফগান পক্ষের একজন তালিবান প্রহরী এবং একজন নাগরিক নিহত হওয়ার পর যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ সোমবার বলেছেন, “পাকিস্তান তার ভূখণ্ডের অভ্যন্তুরে [আফগান সরকারের] কোনো কাঠামো নির্মাণকে মেনে নিতে পারে না কারণ এটি তার সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে।”
তিনি তালিবান পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। এতে পাকিস্তানি বাহিনী আফগান বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ করা হয়েছিল। তখন তারা “কয়েক বছর আগে নির্মিত একটি পুরনো নিরাপত্তা পোস্টে মেরামত কাজ করছিল।”
রবিবারের তালিবান বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে যে, সীমান্ত বন্ধ করা দুই দেশের সম্পর্কে “বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।”
অচলাবস্থার কারণে তোরখামে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনকারী শত শত ট্রাক এবং উভয় দিকের হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে। বাণিজ্যিক পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই আফগান ফল ও সবজি ছিল।
প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত দীর্ঘকাল ধরে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তান শতাব্দী প্রাচীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের সীমানাকে বিতর্কের একটি বিষয়ে পরিণত করে রেখেছে। ইসলামাবাদ কাবুলের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।