অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তালিবান আফগানিস্তানে আইএসের ৮ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হত্যা করেছেঃ যুক্তরাষ্ট্রের দূত


আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহারের দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপনের সময় তালিবান যোদ্ধারা সড়কে টহল দিচ্ছে। (১৫ আগস্ট, ২০২৩, কান্দাহার, আফগানিস্তান)
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহারের দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপনের সময় তালিবান যোদ্ধারা সড়কে টহল দিচ্ছে। (১৫ আগস্ট, ২০২৩, কান্দাহার, আফগানিস্তান)

আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা খোরাসানের বিরুদ্ধে তালিবানের “সফল” হামলায় সংগঠনটির সক্ষমতা “উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে” এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বড় হামলার সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র প্রতিনিধি এই তথ্য জানান।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি টম ওয়েস্ট ওয়াশিংটনের স্টিমসন সেন্টার থিংক ট্যাংক আয়োজিত এক সম্মেলনে মঙ্গলবার তার এই বিশ্লেষণটি জানান।

ওয়েস্ট বলেন, “তারা (তালিবান) খুবই আক্রমণাত্মক ও সহিংস হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে আইএসকেপির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে”। “আমার মতে এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ২০২৩-এর শুরু থেকে আফগানিস্তানে তালিবান অভিযানের ফলে অন্তত ৮ জন আইএসকেপি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের কেউ কেউ বাহ্যিক (হামলা) পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন”।

ওয়েস্ট বলেন, এই সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগের ফলে আফগান বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হামলার সংখ্যা “ধারাবাহিকভাবে কমেছে”।

“এর আগে মূলত হাজারা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলা হচ্ছিল, কিন্তু আমরা তারপর থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি ফিরে আসতে দেখিনি”।

মঙ্গলবারের সম্মেলনে ওয়েস্ট আরও মন্তব্য করেন, আল-কায়েদা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তাদের “ইতিহাসের সর্বনিম্ন” পর্যায়ে আছে।

“সংগঠনটি ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান থেকে সুদানে স্থানান্তর হওয়ার পর সম্ভবত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে”।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র রাষ্ট্রগুলো ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এর কয়েকদিন আগেই তৎকালীন তালিবান জঙ্গিরা কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। বিদেশী সেনাদের চলে যাবার মাধ্যমে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই দশকের সংশ্লিষ্টতার অবসান ঘটে।

XS
SM
MD
LG