আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তালিবানের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি এবং আফগান আর্থিক সম্পদের অবমুক্তির। তবে নারীদের প্রতি সরকারের নিপীড়নমূলক নীতি, চলমান নিরাপত্তা হুমকি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে গোষ্ঠীর ব্যর্থতার কারণে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারটি উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা একথা জানান।
তালিবান দুই বছরের বেশি সময় ধরে পুরো আফগানিস্তানের ওপর কর্তৃত্ব করার পরেও কোনো দেশই তাদের স্বঘোষিত ইসলামিক আমিরাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
আফগানিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওয়েস্ট ওয়াশিংটনের নির্দলীয় একটি চিন্তক গোষ্ঠী স্টিমসন সেন্টারে মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে সময় কূটনৈতিক স্থবিরতার পেছনের কারণগুলো তুলে ধরেন।
ওয়েস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তালিবান সরকারের অ-স্বীকৃতির জন্য বিশ্বব্যপী ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে না তবে তার কিছু শর্ত রয়েছে যা তালিবান পূরণ করেনি।
ওয়েস্ট বলেন, “প্রথমে তালিবানকে মৌলিকভাবে তাদের নিরাপত্তা দায়বদ্ধতা পূরণ করতে হবে,” তিনি আরও বলেন, আল-কায়েদা ১৯৯৬ সালে সুদান থেকে আফগানিস্তানে চলে আসার পর এখন একটি “ঐতিহাসিকভাবে নিম্নতম অবস্থানে ” রয়েছে, তবে এখনও স্থলবেষ্টিত দেশটিতে অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য দুটি অতিরিক্ত শর্ত হিসেবে তালিবানের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাও ওয়েস্ট তুলে ধরেছেন।
তালিবান নারীদের ওপর তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ব্যাপক আহ্বানকে অস্বীকার করেছে, তবে বলছে তাদের অন্তর্বর্তী সরকার যথেষ্ট অন্তর্ভুক্তিমূলক।