অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কৃষি মার্কেটের আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন কর্মীরা—ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক


অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কৃষি মার্কেটের আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন কর্মীরা—ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক।

রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে প্রচুর ভিড় থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) অধিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, “অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে এবং দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বিজিবিকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে”।

এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করতে তদন্ত করা হবে।

২ জন সামান্য আহত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম আরও দাবি করেন, মার্কেটে পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ এবং প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়া মার্কেটের কোনো নিরাপত্তা পরিকল্পনাও নেই।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ জারি করেছে। বিভিন্ন সময়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মার্কেটের আশপাশের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এটি বঙ্গবাজারের মতো এবং ছোট ছোট গলিগুলো মালামালের স্তূপে আটকে ছিল এবং কলাপসিবল গেটগুলো বন্ধ থাকায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের সময় মার্কেটের নৈশ প্রহরীরাও উপস্থিত ছিলেন না। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কলাপসিবল গেট ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি তখন আমরা দেখেছি যে, আগুন মার্কেটের প্রায় তিন-চতুর্থাংশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো এটি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পরিশ্রম করেছে”।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের (মিডিয়া সেল) গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে মার্কেটে আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

XS
SM
MD
LG