হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশীকে থাকার অনুমতি দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিক্ষোভকারিরা। বিতর্কিত এক নীতির অধীনে এই অভিবাসীদের আশ্রয়ের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১২ হাজার পর্যন্ত আশ্রয়প্রার্থীর দাবি নিয়ে অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিলের দফতরের বাইরে এক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সোমবার। অস্থায়ী ব্রিজিং ভিসায় তাঁরা এক দশকের বেশি সময় ধরে এই দেশে রয়েছেন, তবে এখন তাঁরা প্রত্যাবাসনের ঝুঁকির মুখে।
ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির সরকার বলেছিল, অস্থায়ী সুরক্ষা ভিসা বা নিরাপদ আশ্রয় ভিসায় ১৯ হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশীকে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে, প্রায় ১২ হাজার আরও আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন ব্রিজিং ভিসাতে। এঁরা মূলত ইরান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বাসিন্দা। এঁদের কথা ঘোষণায় বলা হয়নি। তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্রিজিং ভিসা হল একটি অস্থায়ী অনুমতি যা অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে অ-নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ায় বৈধভাবে থাকার অনুমতি দেয়। এই দেশে থাকতে হলে প্রতি ছয় মাস অন্তর তাঁদের পুনরায় আবেদন করতে হয়।
পূর্ববর্তী 'ফাস্ট-ট্র্যাক' নীতির অধীনে অনেকের শরণার্থী হওয়ার দাবি খারিজ করা হয়েছিল। এই নীতিকে কৌঁসুলিরা অন্যায্য ও স্বেচ্ছাচারী বলেছেন। ক্যানবেরার সাবেক রক্ষণশীল সরকার এটি চালু করেছিল। আশ্রয়ের অনেক দাবি বকেয়া পড়ে ছিল। একে মোকাবিলা করতেই এটি চালু করা হয়েছিল।
ক্যানবেরা সরকারের “মানবিক হস্তক্ষেপে”র আহ্বান জানাচ্ছেন প্রচারকরা।
ইরান থেকে আসা অভিবাসন-প্রত্যাশী মাহবুবে মিরশাহী। ২০১৩ সালে নৌকা করে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন।
অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিলের মেলবর্নস্থিত আঞ্চলিক দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তিনি সোমবার যোগ দিচ্ছেন।
মিরশাহী ভিওএ-কে বলেন, নিরাপত্তার জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে এসেছিলেন।