ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশনকে প্রতিশ্রুত ৫০ লাখ ডলারের আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করছে। ইইউ দেশটির আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনে স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ করেছে।
মঙ্গলবার দিনের শেষে এক বিবৃতিতে হারারেতে ইইউ দূতাবাস বলেছে, জিম্বাবুয়ে নির্বাচন কমিশন যেভাবে দেশটির আগস্টের সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছিল সে কারণে ব্রাসেলস জিম্বাবুয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রতিশ্রুত ৫০ লাখ ডলারের আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করেছে।
প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া ২৩ আগস্টের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সিটিজেনস কোয়ালিশন ফর চেঞ্জের নেলসন চামিসাকে পরাজিত করেছেন।
সরকারের মুখপাত্র নিক মাংওয়ানা বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানের অধ্যায় ১২ অনুযায়ী আমাদের গণতন্ত্রকে জোরালো করে এমন প্রতিষ্ঠান এজন্য তৈরি করিনি যাতে সেগুলো বিদেশীরা অর্থায়ন করতে পারে। ”
জিম্বাবুয়ের নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক মিশনটি ছাড়া অন্যান্য মিশনও জিম্বাবুয়ে নির্বাচন কমিশনের আগস্টের নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতির নিন্দা করেছে।
সাউদার্ন আফ্রিকা ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি মিশন বলেছে, আঞ্চলিক সংস্থার নির্বাচনী নির্দেশিকা পালন করতে পারেনি এই নির্বাচন এবং দেশের সংবিধান ও নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছে।
বিরোধী দল লেবার, ইকোনোমিস্ট এন্ড আফ্রিকান ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডা মাসারিরা বলেন, আফ্রিকান দেশগুলোকে ইইউ-এর সহায়তা ছাড়াই নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।
হারারে ভিত্তিক স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক গিবসন নাইকাদজিনো মাসারিরার সাথে একমত পোষণ করেছেন।
কিন্তু আইনজীবী এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ব্রাইটন মুতেবুকা বলেন, অর্থ প্রত্যাহারের ইইউ-র সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গত ছিল।
বুধবার জিম্বাবুয়ে নির্বাচন কমিশন ইইউ-এর ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।