বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতির ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে, গত দুই দিনে ১১৭ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এই ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, “বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে সরকারের বিশেষ অনুমতির ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে (রবিবার ও সোমবার) ১১৭ টন ৯০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। বাকি ইলিশ আগামী ৩০ অক্টেবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করবে দেশের ইলিশ রপ্তানিকারক ৭৯টি প্রতিষ্ঠান।
পূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে ভারতীয়রা খুশি। তবে বাংলাদেশের বাজারে আকার ও মান ভেদে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে শারদীয় পূজা উৎসব। আর এ পূজা উৎসবে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় এপারের পদ্মার ইলিশ। সারা বছর ধরে তারা অপেক্ষায় থাকেন, পূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে; আর,অতিথি আপ্যায়নে, পাতে ইলিশ তুলে দেবেন।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায়, বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ছয় বছর ধরে ইলিশ ছাড়াই পূজা পার করেছে পশ্চিম বাংলার মানুষ। অবশেষে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আর দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায়, সরকার ২০১৯ সাল থেকে পূজার উপলক্ষে আবার নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করছে।
বাংলাদেশের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে কিছুটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে, বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা ও ৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় ইলিশ আমদানিকারকরা বলেন, “দুই দেশের সুসর্ম্পকের কারণে এবারও পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ পেয়েছি। এতে আমরা অনেক খুশি।”