বৃহস্পতিবার নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী ভয়ংকর লড়াইয়ের মুখেও “ধীরে ধীরে জয়লাভ করছে”। তিনি মিত্রদেরকে ক্রমাগতভাবে আরও সহায়তা প্রদান,প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়াতে অনুরোধ করছেন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে কথা বলার সময় স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের প্রধান গোলাবারুদের জন্য নেটোর আড়াইশো কোটি ডলারের পরিকাঠামো বিষয়ক চুক্তি রয়েছে।
স্টলটেনবার্গ বলেন, যুদ্ধ জয়ের জন্য ইউক্রেনের যা প্রয়োজন তা প্রদান করা হলো নেটোর নিরাপত্তার স্বার্থ।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ৪৪টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ৩৪টি-কে ভূপাতিত করেছে। এগুলো রাশিয়া রাতভর ইউক্রেন আক্রমণে ব্যবহার করেছিল।
হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে মাইকোলাইভ, ওডেসা এবং কিরোভোহরাদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার টেলিগ্রামে বলেন,সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন,সেখানে কোনো ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেনি, ভূপাতিত হওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকটি ছোট জায়গায় আগুন ধরেছে।
বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার রাতের ভাষণে বলেন, তার দেশের যোদ্ধাদের “রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, শাহেদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ ড্রোন, সেইসাথে রুশ বিমান ধ্বংস করার জন্য আরও অস্ত্র প্রয়োজন।”
বুধবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, জুনে অল্প সময়ের বিদ্রোহের পরে বেলারুশে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় ৫০০ ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের সাথে যুদ্ধ করেছিল। তারা এখন আবার কিয়েভের বাহিনীর সাথে লড়াই করার জন্য ফ্রন্ট লাইনে ফিরে এসেছে।
ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগানি প্রিগোজিন গত মাসে রাশিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এর ফলে তার বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সম্ভবত ছয় হাজারের মতো সেনা তিন মাস ধরে বেলারুশে ছিল। অন্যদের আফ্রিকায় মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানেও ওয়াগনারের চলমান অপারেশন ছিল।
ইউক্রেনের ইস্টার্ন গ্রুপিং অফ ফোর্সেস-এর মুখপাত্র ইলিয়া ইয়েভলাশ ইউক্রেনীয় সম্প্রচারকারী আরবিসি-ইউক্রেনকে বলেন, এখন প্রায় ৫০০ ওয়াগনার সেনা ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে। তিনি বলেন,রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ফেরত আসা ভাড়াটে সেনাদের সাথে চুক্তি নবায়ন করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।