স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন, এই প্রথম স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) উদ্বোধন করলেন। পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার এই ডুবোজাহাজটি উদ্বোধন করা হয়। এর নকশা তৈরি ও নির্মাণকাজ চলেছে সাত বছর ধরে। চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী পদক্ষেপের মধ্যেই এই ডুবোজাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী ২০২৪ সালে ডিজেল-বিদ্যুৎ চালিত জাহাজটির পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এর আগে এই জাহাজকে বন্দরে ও সমুদ্র যাত্রার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
সাই ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসেন। তখনই তিনি ডুবোজাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, “দিনটিকে ইতিহাস চিরকাল মনে রাখবে। অতীতে তাইওয়ানে স্থানীয়ভাবে সাবমেরিন তৈরি করাকে অসম্ভব কাজ বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু, আজ, আমাদের নাগরিকদের নকশায় নির্মিত ডুবোজাহাজ আপনাদের সামনে।”
তিনি বলেন, “আমরা এটা করেছি। ডুবোজাহাজ নির্মাণ করা কেবল একটা লক্ষ্য নয়; বরং আমাদের দেশকে রক্ষা করতে আমাদের প্রতিশ্রুতির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন। একটি সমন্বিত রণকৌশল প্রণয়নের জন্য সাবমেরিন তাইওয়ান নৌবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম।“
বেইজিং তার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবের চাপ সৃষ্টি করে, তাইওয়ানকে তার মিত্রদের কাছ থেকে যে কোনো ধরণের ক্রয় বাধাগ্রস্ত করে। এমন পরিস্থিতিতে, তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ডুবোজাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করে। চীন দ্বীপটিকে নিজের এলাকা বলে মনে করে।আর তাইওয়ানের কিনমেন দ্বীপ ও চীনের ভূখণ্ডের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। এই স্থানটি দুই সত্বার মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থিত।
তাইওয়ানের কাছাকাছি বেইজিং ক্রমবর্ধমান হারে আগ্রাসী সামরিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এখানে চীনের যুদ্ধবিমান ও নৌবহর টহল দেয় ও মহড়া চালায়।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ডুবোজাহাজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে তাইওয়ান “তাদের নিজেদের ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।“
এদিকে, তাইওয়ানের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সিএসবিসি কর্পোরেশনের সিইও চেং ওয়েন-লন বলেন, “নতুন জাহাজটি পুরোপুরি আমাদের নকশা করা এবং বর্তমানে সক্রিয় থাকা এর সমগোত্রীয় জাহাজগুলোর চেয়ে এটির কার্যক্ষমতা অনেক ভালো হবে।“