শুক্রবার তালিবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাশিয়ার কাজান শহরে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠানোর জন্য চীনের প্রশংসা করেছেন এবং অন্যান্য দেশকে চীনের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে একজন চীনা রাষ্ট্রদূত চাও বলেন, “চীন দ্বারা তালিবান সরকারের অবিলম্বে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং এটি তালিবানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চীনের অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত।”
এটিকে “স্বীকৃতির দিকে একটি পদক্ষেপ” বিবেচনা করে আফগান রাজনৈতিক বিশ্লেষক হায়দার অ্যাডাল ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে নিয়োগ শুধুমাত্র চীনের প্রভাব বিস্তার করবে তা নয় বরং তালিবানের অবস্থানকে “সুবিধা” দেবে।
অ্যাডাল আরও বলেন, এটি “আফগানিস্তানে মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীর অধিকারকে সম্মান করার জন্য তালিবানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য আরও কঠিন করে তুলবে।”
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালিবান দেশটির নারীদের ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছে। তালিবানের অধীনে থাকা নারীদের কাজ করার, মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পেতে বা ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় ছাড়া দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণের অনুমতি নেই।
যদিও চীন নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে তারা মে মাসে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে আফগানিস্তানে সম্প্রসারণ করতে সম্মত হয়- এটি ৬ হাজার কোটি ডলারের একটি সংযোগ প্রকল্প যা বিশ্বব্যাপী চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ।
জুলাই মাসে ফ্যান চায়না আফগান মাইনিং প্রসেসিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানির কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে ৩৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন ।
রুবিন বলেন, যদিও তালিবান আশা করে যে, চীন আরও বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে, তবে “বিশাল বিনিয়োগের পরিবেশ আফগানিস্তানে নেই।”
এই প্রতিবেদনটি ভয়েস অফ আমেরিকা আফগান বিভাগ থেকে নেয়া হয়েছে।