অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জনগণের মধ্যে সংযোগের অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: অধ্যাপক ভরদ্বাজ


ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শীর্ষক সেমিনারে জেএনইউ-এর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।
ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শীর্ষক সেমিনারে জেএনইউ-এর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।

জনগণের মধ্যে সংযোগের ঘাটতি থাকায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।

সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এর সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের সাবেক চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ভরদ্বাজ বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জনগণের মধ্যে সংযোগের অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ভারত সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি করতে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি প্রয়োজন। দুই দেশের সরকার ও সুশীল সমাজের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।”

ড. ভরদ্বাজ আরো বলেন, “সম্পদ ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ভারত তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। দেশটি এখন দ্বিপাক্ষিকতা বাদ দিয়ে বহুপাক্ষিকতা, একতরফাবাদ থেকে গঠনমূলক একতরফাবাদ এবং সম্পদ জাতীয়তাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।”

অপর্যাপ্ত অর্থনৈতিক শক্তি, আমলাতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক জবাবদিহি, ফেডারেল ও কোয়ালিশন রাজনীতি, কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা, ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অনিশ্চয়তাকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রধান নীতিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন ড. ভরদ্বাজ।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।

XS
SM
MD
LG