বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন; শান্তি, অহিংসা, সহিষ্ণুতা ও বোঝাপড়ার মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে এবং সন্ত্রাসবাদের মতো বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে।”
প্রণয় ভার্মা সোমবার (২ অক্টোবর) গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত, গান্ধিজিস কোয়েস্ট ফর পিস্ অ্যান্ড হারমনি ইন নোয়াখালী অ্যান্ড ইটস রিলেভ্যান্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, “মানবতার সহজাত মঙ্গলের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর দৃঢ় বিশ্বাস, পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে শান্তি ও অহিংসার প্রতি তাঁর অবিচল বিশ্বাস, আজো ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই প্রাসঙ্গিক।”
তিনি উল্লেখ করেন, “১৯৪৬ সালে গান্ধীর ঐতিহাসিক নোয়াখালী সফর, সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সংলাপ, সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার অসাধারণ শক্তির দৃষ্টান্ত। অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নীতির প্রতি তাঁর অদম্য নিবেদন শুধু নোয়াখালীকে সান্ত্বনা দেয়নি, মানবতার বিবেক-এ অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছে।”
ভারতের হাইকমিশনার আরো বলেন, “প্রতি বছর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন; শান্তি, অহিংসা, সহিষ্ণুতা ও বোঝাপড়ার মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে এবং সন্ত্রাসবাদের মতো বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এসব বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে।”
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস ভারতের দীর্ঘদিনের বিশ্বাসের একটি দৃঢ় প্রমাণ।আর, কোনো অজুহাতই সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারে না; মানবতাবাদ সর্বদা বিজয়ী হবে।”
হাই কমিশনার ভার্মা ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্মারক ও গান্ধী আশ্রমের জাদুঘর পরিদর্শন করেন।তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট-কে ভারতে গান্ধী অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত সহযোগিতা ও বিনিময় গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেন।