অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচনের আগে নৃশংসতা ঘটলে সহনশীলতা দেখানো হবে না: লন্ডনে শেখ হাসিনা


লন্ডনে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী  শেখ হাসিনা। ২ অক্টোবর, ২০২৩।
লন্ডনে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী  শেখ হাসিনা। ২ অক্টোবর, ২০২৩।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে, আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ ও নৃশংসতা হলে, সহনশীলতা দেখানো হবে না।” সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনে, তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলনের নামে, নির্বাচনের আগে যদি অগ্নি সন্ত্রাস বা একই ধরনের ঘটনা অথবা জনগণের ওপর হামলা হয়, তাহলে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট তথাকথিত আন্দোলনের নামে ২০১৩-২০১৪ সালে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, বাস, ট্রেন ও লঞ্চ-সহ যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, দেশজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, “অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেকে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই তাদের আন্দোলন।” তিনি আরো বলেন, “এর আগে তারা ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোঁকাবাজি করেছিলো। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “দেশের জনগণ কখনোই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না। বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করেছিলো এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিলো।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “বরং, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

XS
SM
MD
LG