বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস স্থবির হয়ে পড়েছে। কংগ্রেসের স্পীকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় এবং ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদন করতে ও সরকারি শাটডাউন এড়াতে আইনপ্রণেতারা নির্দিষ্ট ছয় সপ্তাহের সময়সীমার মুখোমুখি হয়েছেন।
সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, নতুন স্পীকার নির্বাচন করার প্রক্রিয়া দ্রুত নাও হতে পারে। মঙ্গলবার প্রাক্তন হাউজ স্পীকার কেভিন ম্যাকার্থি ক্ষমতাচ্যুত হন। এই পদটিতে আসীন হওয়ার জন্য জানুয়ারিতে ম্যাকার্থির ১৫ দফা ভোটের প্রয়োজন হয়েছিল। তাকে তার দলের রক্ষণশীল অংশের জন্য বেশ কয়েকটি ছাড় দিতে হয়েছিল। যেসব বিষয়ে ছাড় দিতে হয়েছে তার মধ্যে একটি রুল হলো, কেবল একজন আইনপ্রণেতাও তাকে স্পীকার হিসেবে অপসারণের জন্য ভোটের আহ্বান জানাতে পারেন।
ম্যাকার্থি গত সপ্তাহে রক্ষণশীল ব্যয়ের অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারি একটি তহবিল বিল পাস করতে ব্যর্থ হন। এরপর তার নেতৃত্বের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে সোমবার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ ম্যাকার্থির অপসারণ চেয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হাউজের সদস্যরা স্পীকার অপসারণের পক্ষে ভোট দিলেন।
সোমবার রাতে ম্যাকার্থি জেফ্রিসের সাথে আলোচনা করেছেন। ম্যাকার্থি বলেন, তিনি জেফ্রিসকে বলেছেন, “আপনারা যা করতে চান তা-ই করুন।আমি রাজনীতি করি। আমি বুঝতে পারি কে কখন কোথায় আছে। দিনশেষে আমি হাউজের ওপর আস্থা রাখি।আপনি যদি এমন একজন স্পীকারকে পদচ্যুত করেন, যিনি ৯৯ শতাংশ সময় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, যিনি সরকারকে উন্মুক্ত রেখেছিলেন এবং সেনাদের বেতন পরিশোধ করেছিলেন; আমি মনে করি, আমরা কীভাবে কংগ্রেস চালাতে যাচ্ছি, সে সম্পর্কে আমরা বস্তুত এখন খারাপ অবস্থানে রয়েছি।