সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোমস শহরে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের স্নাতক অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, এই হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪০ জন।তবে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, বিস্ফোরক-বাঁধা ড্রোন স্নাতক অনুষ্ঠানকেই লক্ষ্যবস্তু করেছিলো। সেনা কর্মকর্তারা হতাহতের আনুষ্ঠানিক কোনো হিসাব দেননি। কেবল জানিয়েছেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন।
সিরিয়ার সরকার তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এই শোক।
এই হামলার জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দায়ী না করে “পরিচিত আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট” উগ্রবাদীদের ওপর দোষারোপ করেছে সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি প্রতিজ্ঞা করেছে, “এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যেখানেই থাকুক, পূর্ণশক্তি ও দৃঢ়সঙ্কল্প নিয়ে তারা এর পাল্টা জবাব দেবে।“
হামলার পর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহর ইদলিবে বোমা হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এই গোলা বর্ষণে, কত জন হতাহত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার এই এলাকায় আরো একটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী। এসময় একটি বসতবাড়িতে গোলা আঘাত করলে, এক বয়স্ক নারী, তার চার শিশু সন্তান ও কয়েকজন ত্রাণ কর্মী নিহত হন। এ তথ্য জানিয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়াতে কর্মরত, স্বেচ্চাসেবী বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংগঠন হোয়াইট হেলমেট।
হোয়াইট হেলমেট আরো জানিয়েছে যে নয়জন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছেন।