রবিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক ইসরাইলে হামাস জঙ্গিদের হঠকারি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, "ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনা এবং সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে শান্ত থাকতে, সংযম অবলম্বন করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ও পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।"
বেইজিং-এ ইসরাইলি দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ইসরাইল আশা করে, চীন হামাসের হামলার কঠোর নিন্দা জানাবে।
চীন গাজার হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে না তবে এটিকে একটি প্রতিরোধ সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
চীনে ইসরাইলের দূতাবাসও বেইজিং-কে ইসরাইলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৯২ সালে উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে চীন এবং ইসরাইলের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিদ্যমান রয়েছে। তবে তাদের মধ্যকার রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়ে গেছে। মতবিরোধের বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ইস্যুতে মতভেদ, ইরানের মতো ইসরাইলের প্রতিপক্ষের সাথে চীনের সম্পর্ক এবং চীনের নির্দিষ্ট প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে ইসরাইলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ।
যুক্তরাষ্ট্রের জার্মান মার্শাল ফান্ডের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বনি গ্লেসারের মতে, চীন ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন উভয়ের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে, তাই চীনের নির্দিষ্ট কোন পক্ষ নেয়ার সম্ভাবনা কম।
শনিবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, তারা ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিকের ওপর হামাসের “সন্ত্রাসী এবং সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে”। এই হামলায় অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।