যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানিয়েছে এবং গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। তারা বলেছে, ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের হামলা “আইসিস স্তরের বর্বরতা” ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে তুলনা করেছেন। আইএস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিরশ্ছেদ ও অন্যান্য মৃত্যুদণ্ডের বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিদের মধ্যে আমরা যে ধরনের উত্তেজনা বা সংঘাত দেখে এসেছি, এটিকেও একই ধরনের উত্তেজনা বা সংঘাত হিসেবে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এটা অন্যরকম।”
তিনি আরও বলেন, "হামাসের জঙ্গিরা নির্বিচারে যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এটা নজিরবিহীন। আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রয়োজনে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকারকে সমর্থন করি। ইসরাইলের ভূখণ্ড সুরক্ষিত রাখতে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো প্রয়োজন হবে।"
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী, একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার এবং পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার রয়েছে এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজগুলো “খুব শিগগিরই” পৌঁছাবে। মিত্রদের আশ্বস্ত করতে এবং ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহসহ এর বিভিন্ন দল যাতে সংঘাতকে কাজে লাগাতে বা বাড়ানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকে সে কারণে তারা সামুদ্রিক ও বিমান অভিযান শুরু করবে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়ক জন কারবি সোমবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ইরানের কথা উল্লেখ করে বলেন “এতে তাদের সম্পৃক্ততা না থাকার কারণ নেই। ইরান বহু বছর ধরেই হামাসকে সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন দিয়ে আসছে।”
তবে অন্যদের মতই কোন প্রমাণ এখনও তাদের হাতে নেই বলে জানান।
অনিতা পাওয়েল এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। ।