ইসরাইল বুধবার জানিয়েছে, সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের আগে গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলি সৈন্যরা জড়ো হয়েছে। এরপরই তাদের সামরিক বাহিনী রাতারাতি গাজা উপত্যকায় ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া হামাসের হামলায় ইসরাইলের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০০ জনে দাঁড়িয়েছে যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। আরও ২৭০০ জন আহত হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, ইসরাইলের অভ্যন্তরে চলমান লড়াইয়ের কারণ ছাড়াও আরও মৃতদেহ পাওয়া গেছে, তাই মৃতের সংখ্যা বেশি।
এক ভিডিও বার্তায় কনরিকাস বলেন, হামাস যোদ্ধাদের তৈরি করা সীমান্ত সংযোগগুলো ইসরাইল সিল করে দিয়েছে এবং ওই এলাকা নিবিড়ভাবে পাহারা দিচ্ছে।
তিনি গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা সমর্থন করে বলেন, হামাস ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাই সেগুলোই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় দুই লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় অন্তত ৯০০ জন নিহত ও ৪ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে।
কনরিকাস আরও বলেন, হামাসের সামরিক সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ৩ লাখ ৬০ হাজার ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা একটি মিশন পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি পাল্টা অভিযানে পরিকল্পনা ও গোয়েন্দা তথ্য সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর একটি ছোট দল ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ভূমধ্যসাগরে একটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপও পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।