হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাতের পঞ্চম দিনে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করছে।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি সফররত ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানিকে সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, দুই পক্ষের কর্মকর্তারা “গাজায় সংঘাতের তীব্রতা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা” এবং “ধ্বংসযজ্ঞের গুরুতর অবস্থা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।”
তারা “যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন” প্রয়োগ করারও আহ্বান জানিয়েছেন ।
সৌদি মালিকানাধীন আল-আরাবিয়া টিভির খবরে বলা হয়েছে, জর্ডান গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের জন্য মিশরে সহায়তা সরবরাহ করেছে। মিশর কীভাবে এই সরবরাহগুলো বিতরণ করার পরিকল্পনা করছে তা তখনই পরিষ্কার করে বলা যায়নি। মিশর এবং গাজার মধ্যে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এই সীমান্তের কাছে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির বিক্ষিপ্ত খবর পাওয়া গেছে।
সিরিয়ার সরকারী টিভিতে দেখানো হয়েছে, রাজধানী দামেস্কে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াচ্ছে। তারা এটিকে “ছাত্রদের বিক্ষোভ” বলে অভিহিত করে। শিক্ষার্থীরা টিভি চ্যানেলকে জানায়, তারা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন দিতে দামেস্কে জড়ো হয়েছে।
আরব গণমাধ্যম বেশ কয়েকজন ইরাকি শিয়া ধর্মীয় নেতা এবং তাদের সমর্থকদের মিছিলের একটি ভিডিও সম্প্রচার করেছে। তারা খাদিমিয়ার বাগদাদ জেলার সরু রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। তাদেরকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।